বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সারাদেশে প্রতিবছর এই সময় অগ্রহায়ণের শুরুতেই নবান্ন উৎসবে মেতে উঠে গ্রামের কৃষক কৃষাণীরা। সেই ধারাবাহিকতায় সাদুল্লাপুর উপজেলায় কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে আনন্দ মুখোর নবান্ন উৎসব।
ধানকাটা মাড়াইয়ের জন্য অনেকে একটা জমি অথবা বড় আঙ্গিনা বেছে নিয়ে তাতে পরিষ্কার করে নেপে দিচ্ছেন কেউ বা বাজার থেকে জাল কিনে আনছেন। নতুন ধান উঠানে আসার পর তা মাড়াই করে রোদে শুকিয়ে সিদ্ধ করে মেশিন থেকে চাল বের করছেন। পাশাপাশি নবান্ন উৎসবে মাতোয়ারা গৃহিণীরা পিঠা-পুলি তৈরিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। সন্ধ্যা হলেই তারা চালের গুঁড়ি নিয়ে রান্নাঘরে বসে পড়েন নানা প্রকার পিঠা-পায়েস তৈরিতে। দিনভর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর কৃষকেরা বাড়ির এককোণায় বসে গুণগুণ করে আপন মনে গাইবে বিভিন্ন গান। ততক্ষণে বাতাসে পিঠা-পায়েসের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়বে চারিদিকে । পরিবারের ছোট ছেলেমেয়েরা পিঠা-পুলির স্বাদে তারাও আনন্দে মেতে উঠবে। তবে শহর বন্দরে নবান্নের এই উৎসব নেই বল্লেই চলে ।
গ্রামে ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। কৃষক-কৃষাণীরা কোমড় বেঁধে ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন । কেউ ধান কাটছেন, কেউ করছেন মাড়াই, গৃহিনীরা আবার ধান সিদ্ধ করছেন। রসুলপুর ইউনিয়নের জুনিদপুর গ্রামের ছকিনা বেগম ধান সিদ্ধ করছিলেন। তার কাছে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, নতুন ধানের নতুন চাল। নবান্নর উৎসবে অনেক আনন্দ হচ্ছে।
কৃষক জলিল মিয়া ও স্বপন মিয়া বলেন আমরা কয়েক বছর থেকে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহেই নবান্নের আয়োজন করে থাকি । একই দিনে গ্রামের সবাই মিলে নবান্ন উৎসবের আয়োজনে খুব মজা হয়।